এখন উপন্যাসের দিকে আলোকপাত করা যাক। উপন্যাসটি একটি সাধারন ঘটনার মাধ্যমে শুরু হয়েছে এবং হিমুর আত্মাধিক ক্ষমতার মাধ্যমে তা বিকশিত হযেছে। সাধারনত হিমুর উপন্যাস যেভাবে শুরু হয় এখানেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। একটি দীর্ঘ্য চিঠির বদলে এখানে শুরু হয়েছে একটি সাধারন আকৃতির চিঠির মাধ্যমে। চিঠির সাথে পাচশ টাকার নোট। মাজেদা খালার চিঠি লেখার একটা স্টাইল। এই উপন্যাসে হিমু যার সমস্যা নিয়ে কাজ করছে তার নাম জহির। মাজেদা খালার ছেলে। খুব ভালো ছাত্র। হুমায়ূন আহমেদ এর আর একটি চরিত্র বাদলের ফটকপি। যা আমার খুবই অপছন্দ। সে হঠাৎ করে একটি মেয়েকে ভালোবেসে ফেলে। মেয়ের নাম ফুলফুলিয়া। কিন্তু বাংলা ছবির চিরায়ত দৃশ্যের মত জহিরের মা-বাবা কেউ তাতে রাজি নেই। কিন্তু তাতে কি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র যেখানে হিমু সেখানে কারো বিয়ে কিভাবে আটকে থাকবে(তার তার নিজেরটা বাদে)। সুতরাং যথারিতী হিমু তার অলৈকিক ক্ষমতার প্রকাশ শুরু করে দেয় এবং আপনারা যারা হিমুর দু তিনটা বই পড়েছেন তাদেরকে আর বাকিটুকু বলার তেমন প্রয়োজন মনে করছি না । কারন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি , তবে প্রত্যেকবার আলাদা আলাদা ভাবে। অনেকটা একই স্থানে যাওয়া কিন্তু বিভিন্ন পথে যাবার মত। শেষে কি হবে আমরা সবাই বুঝতে পারি কিন্তু কোন পথে যাচ্ছি তা অচেনা। যখন আমাদের গন্তব্য আমরা যেনে যাই এবং দেখতে পাই গন্তব্য স্থল আমাদের সকলের চিরচেনা তখন গন্তব্যস্থানে পৌছানোর আগ্রহ কার কতটুকু থাকে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যাহোক শেষ পর্যন্ত হিমু তাদের দুজনের বিয়ের ব্যবস্থা করে ফেলে কিন্তু তার নিজের গন্তব্য হয়ে পড়ে অজানা। সামনে তার কি অপেক্ষা করছে তা সে জানে না।
চলে যায় বসন্তের দিন |