মুহম্মদ জাফর ইকবালের বৃষ্টির ঠিকানা উপন্যাসটি একটি বালিকার নিঃসঙ্গ জীবনকাহিনী। মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার এই উপন্যাসে প্রবাসী জীবনের নিঃসঙ্গতাকে সুচারুভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। একটি ছোট্ট মেয়ে যখন তার সমবয়সী ছেলেমেয়েদের সাথে খেলা-ধুলা করে বেড়াবে সেখানে তাকে একটি সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মত বন্ধঘরে বন্দি হয়ে থাকতে হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় তার বাবা আসলে তার আপন বাবা নয় সৎ বাবা। হয়ত সেকারনেই তাকে এত কষ্টের মুখমুখি হতে হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তিতে দেখা যায় আসলে আমাদের বাঙ্গালী সমাজের রক্ষনশীলতাই এর প্রধান কারন। নতুন সংস্কৃতি গ্রহনে আমরা পিছুপা হচ্ছি। বিদেশীদের অনুকরন করা আমরা আমাদের জীবনের একটি লক্ষ্য করে নিয়েছি। আমারা যারা যত বেশি পাশ্চাত্য ধারায় চলতে বা কথা বলতে পারবে তারাই বেশি সফল ,তবে হ্যা অবশ্যই আমাদের রক্ষনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন পূর্বক, এটাই আমাদের ধারনা। কিন্তু মেয়েটির মনে আছে সকল নিয়ম বাধার প্রত্যয় যা তার একজন স্কুল শিক্ষিকার সাহায্যে বাস্তবে রুপদান করা সম্ভব হয়। সে তার পরিবারের সকল বাধাকে অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত তার গদবাধা নিয়মের পরিবর্তন করে বুঝতে পারে তারুন্যের শক্তি। এবং সে অংকন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত হয়। সেই টাকা দিয়ে সে ফিরে যেতে চাই তার জন্মভুমি বাংলাদেশে । যে দেশ সম্পর্কে সে কিছুই জানে না। মাতৃভুমির উপর তার বাধভাঙ্গা আকর্ষন সকল বাধাকে জয় করে তাকে দেশের মাটিতে বরন করে নেয়। দেশকে জানতে পেরে সে নিজেকে ধন্য মনে করে। একসময় সে জানতে পারে তার বাবা , যাকে সে মৃত ভেবে আসছিল সে আসলে বেচে আছেন। সে ছুটে যায় তার কাছে। তার আকুল ভালোবাসায় আবার তার বাবা সুস্থ হয়ে উঠতে থাকে। সে বুঝতে পারে তার এই অংকন দক্ষতা আসলে তার বাবার কাছ থেকে পাওয়া , যা তার রক্তে মিশে আছে। অবশেষে তার বাবার প্রতি তার আকুল ভালোবাসা এবং বাবার মেয়েকে কাছে রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ের কাছে যেন নিষ্ঠুর প্রকৃতির নিয়মের বেড়াজাল ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায় । শহরের সবাই দেখতে পায় একটি মেয়ে তার বাবার হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজছে , বহু প্রতিক্ষিত সেই বৃষ্টি।
Brishtir thikana by Md Jafor Iqbal/ মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর "বৃষ্টির ঠিকানা"
মুহম্মদ জাফর ইকবালের বৃষ্টির ঠিকানা উপন্যাসটি একটি বালিকার নিঃসঙ্গ জীবনকাহিনী। মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার এই উপন্যাসে প্রবাসী জীবনের নিঃসঙ্গতাকে সুচারুভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। একটি ছোট্ট মেয়ে যখন তার সমবয়সী ছেলেমেয়েদের সাথে খেলা-ধুলা করে বেড়াবে সেখানে তাকে একটি সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মত বন্ধঘরে বন্দি হয়ে থাকতে হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় তার বাবা আসলে তার আপন বাবা নয় সৎ বাবা। হয়ত সেকারনেই তাকে এত কষ্টের মুখমুখি হতে হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তিতে দেখা যায় আসলে আমাদের বাঙ্গালী সমাজের রক্ষনশীলতাই এর প্রধান কারন। নতুন সংস্কৃতি গ্রহনে আমরা পিছুপা হচ্ছি। বিদেশীদের অনুকরন করা আমরা আমাদের জীবনের একটি লক্ষ্য করে নিয়েছি। আমারা যারা যত বেশি পাশ্চাত্য ধারায় চলতে বা কথা বলতে পারবে তারাই বেশি সফল ,তবে হ্যা অবশ্যই আমাদের রক্ষনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন পূর্বক, এটাই আমাদের ধারনা। কিন্তু মেয়েটির মনে আছে সকল নিয়ম বাধার প্রত্যয় যা তার একজন স্কুল শিক্ষিকার সাহায্যে বাস্তবে রুপদান করা সম্ভব হয়। সে তার পরিবারের সকল বাধাকে অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত তার গদবাধা নিয়মের পরিবর্তন করে বুঝতে পারে তারুন্যের শক্তি। এবং সে অংকন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত হয়। সেই টাকা দিয়ে সে ফিরে যেতে চাই তার জন্মভুমি বাংলাদেশে । যে দেশ সম্পর্কে সে কিছুই জানে না। মাতৃভুমির উপর তার বাধভাঙ্গা আকর্ষন সকল বাধাকে জয় করে তাকে দেশের মাটিতে বরন করে নেয়। দেশকে জানতে পেরে সে নিজেকে ধন্য মনে করে। একসময় সে জানতে পারে তার বাবা , যাকে সে মৃত ভেবে আসছিল সে আসলে বেচে আছেন। সে ছুটে যায় তার কাছে। তার আকুল ভালোবাসায় আবার তার বাবা সুস্থ হয়ে উঠতে থাকে। সে বুঝতে পারে তার এই অংকন দক্ষতা আসলে তার বাবার কাছ থেকে পাওয়া , যা তার রক্তে মিশে আছে। অবশেষে তার বাবার প্রতি তার আকুল ভালোবাসা এবং বাবার মেয়েকে কাছে রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ের কাছে যেন নিষ্ঠুর প্রকৃতির নিয়মের বেড়াজাল ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায় । শহরের সবাই দেখতে পায় একটি মেয়ে তার বাবার হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজছে , বহু প্রতিক্ষিত সেই বৃষ্টি।
Labels:
মুহম্মদ জাফর ইকবাল